টোটাল হিস্ট্রি বা সামগ্রিক ইতিহাস ঃ
আধুনিক ইতিহাস চর্চায় সমাজের কোনো একটি নির্দিষ্ট দিক সম্পর্কে আলোচনা না করে মানুষের জীবনের সব দিকেই আলোকপাত করা হয়। এক কথায়, রাজার যুদ্ধ জয় বা সিংহাসন দখলের কাহিনীর বাইরে গিয়ে যখন সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সমাজ কাঠামো এবং পরিবেশ - সবকিছু নিয়েই ইতিহাস রচিত হয়, তখন তাকে সামগ্রিক ইতিহাস বলা হয়।
সামগ্রিক ইতিহাসের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ ঃ
১. বহুমাত্রিক আলোচনা ঃ রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবন — সবকিছু নিয়েই ইতিহাস সমন্বিত।
২. নিচুতলার মানুষের ইতিহাস ঃ শুধু উচ্চবিত্ত বা শাসকদের নয়, সমাজের প্রান্তিক বা সাধারণ মানুষের (যেমন - কৃষক, শ্রমিক, নারী) ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সামগ্রিক ইতিহাসের জন্ম উৎপত্তি ঃ
ফ্রান্সের 'অ্যানাল স্কুল' (Annales School) -এর ঐতিহাসিকরা (যেমন — মার্ক ব্লক, লুসিয়েন ফেবর, ফের্নান্দ ব্রোদেল) এই 'সামগ্রিক ইতিহাস' বা 'Total History' চর্চার ধারণাটি জনপ্রিয় করেন। তাঁদের মতে, ইতিহাস কেবল ঘটনার তালিকা নয়, এটি হলো সামগ্রিকভাবে "সময়ের প্রেক্ষিতে মানুষের সমাজ"।
0 Comments